বড়দের জোকস

উকিলঃ সেকি ম্যাডাম ? আপনার স্বামী তো পাঁচ বছর আগে মারা গেছেন । তাহলে চার বছরের আর একটি দু’বছরের বাচ্চা এলো কোথা থেকে ?
ভদ্রমহিলা রাগের স্বরেঃ তা আমি তো বেঁচে আছি না কি?

- বহুদিন হয়ে গেল, আমরা প্রেম করছি | বিয়ের ব্যাপারে কিছু ভাবছো ?
- ইয়ে...তোমাকে বলা হয় নি | আমায় এ ব্যাপারে আমার বৌয়ের সঙ্গে কথা বলতে হবে |
- ও মা...তুমিও বিবাহিত ?

- ভাই, কাল রাতে বউ তিনবার ঘুমের ঘোরে 'না, অশোক না' বলে উঠেছে | জানিনা, এই অশোক হারামজাদা আবার কে |
- যাকগে না, 'না'-ই তো বলেছে, 'হ্যাঁ' তো নয় ?

এক বন্ধুর সাথে আরেক বন্ধুর বহুদিন পরে দেখা।
প্রথম বলল: কিরে। কেমন আছিস? বিয়ে থা করেছিস?
দ্বিতীয় বন্ধু জবাবে বলল: "বিয়ে করেছি মানে? উপরওয়ালার দয়ায় চারচারটা ছেলে।"
প্রথম বন্ধু: "তোর উপর তলায় কে থাকেরে?"

- পেছনের সারিতে কোনার টিকিট পেয়েছ তো ?
- না, মাঝখানের পেলাম |
- যাঃ, তাহলে তো শুধু সিনেমাটাই দেখতে হবে |

- স্যার, তাড়াতাড়ি বাড়ি যেতে চাই । বউয়ের বাচ্ছা হবে ।
- সেকি, আগে তো কিছু জানাও নি ? কবে হবে ?
- ন'দশ মাস লাগবে, স্যার ।

- ম্যাডাম, আপনি হাতেনাতে ধরা পড়ে গেছেন । তাহলে স্বীকার করুন যে আপনি আপনার স্বামীকে ধোঁকা দিয়েছেন ।
- মোটেই না, বরং ওই আমাকে ধোঁকা দিয়েছে । তিনদিন পরে ফিরবে বলে সেইদিনই ফিরে এলো কেন?

নারী - আমাদের অনেক ইচ্ছে । আমরা আশা করি একটিই পুরুষ এই সব ইচ্ছাপূরণ করবে ।
পুরুষ - আমাদের একটিই ইচ্ছে । শুধু আশা করি অনেক নারী এই ইচ্ছাপূরণ করুক ।

- আপনাকে একদম আমার দ্বিতীয় স্ত্রীর মত দেখতে লাগছে |
- আপনার দু'টো বিয়ে ?
- না না, একটাই |

- (টেলিফোনে) এতো আসতে কথা বলছিস কেন ?
- বউ আছে যে...|
- বউকে এতো ভয় পাস কেন ?
- তোর বউ রে শালা |

- একটু নিরিবিলিতে গিয়ে বসি চল না, কথা আছে ।
- আর কিছু করবে না তো ?
- না-না...।
- তাহলে আর নিরিবিলি কেন, এখানেই বল ।

- পাশের বাড়ীর কত্তা-গিন্নীতে বোধহয় ঝগড়া হচ্ছে । তুমি একটু গিয়ে দেখো না ?
- কি দরকার, আমি বারকয়েক তো গিয়েছিলাম ? হয়তো ঝগড়াটা সেই নিয়েই ।

- তোর যখন ডিভোর্স হয় তখন তো একটাই বাচ্ছা ছিলো, এখন তিনটে হলো কি করে ?
- ও মাঝে মাঝেই ক্ষমা চাইতে চলে আসে যে ।

- এ বাবা ! বাথরুমের দরজা হাট করে খুলে চান করছো ? দরজাটা বন্ধ করে নাও ।
- হ্যাঁ, আমি দরজাটি বন্ধ করি আর তুমি লুকিয়ে লুকিয়ে কি-হোলে চোখ লাগিয়ে সব দেখতে থাকো আর কি ?

- আপনার বাচ্চাকাচ্চা আছে ?
- না ।
- আপনি কি কাজ করেন ?
- বললাম তো, বাচ্চাকাচ্চা নেই ।

- তোমার কথায় আর বাইরে বেড়াতে যাবো না ঠিক করেছিলাম ।
- কেন ?
- প্রথমবার যখন গেলাম, বউয়ের একটা বেবী হোলো । দ্বিতীয়বার যখন গেলাম তখনও বউয়ের আর একটা বেবী হোলো । তৃতীয় বার গেলাম যখন তখন বউয়ের আবার একটা...।
- তা এবারে আবার বেরিয়েছো যে ? আবার যদি...?
- না, আর হবে না । এবারে বউকে সঙ্গে নিয়ে এসেছি ।

- বিজ্ঞানের উন্নতিটা দেখেছিস, মোবাইল, রিমোট, ওয়াশিং মেশিন...একটা করে বোতাম টিপবি আর কতরকম কাজ হয়ে যায় ?
- এ সবের থেকেও আশ্চর্যের জিনিষ তো মুরগী - কিছুই টিপতে হয় না, তাও ডিম পাড়ে !

- বাবা, মা'র সাথে তোমার কোথায় দেখা হয় ?
- আমাদের কলেজ থেকে পিকনিক করতে নৈনিতাল গিয়েছিলাম, সেখানেই তোমার মায়ের সাথে আমার দেখা ।
- আমি সেখানে ছিলাম ?
- না, অন্তত যাবার সময়ে ছিলে না ।

- (ক্লাশে) আমি তোমাদের মুখের দিকে তাকিয়েই বুঝতে পারি আমার সম্বন্ধে কে কি ভাবছে ।
- তখন আপনার নিশ্চই খুব লজ্জা করে, তাই না, ম্যাডাম ?

- বলত, জমজ বাচ্ছা হয় কি করে ?
- কি করে, কি করে ?
- অত উত্তেজিত হচ্ছিস কেন ? সিংগল বাচ্ছা যা করে হয়, জমজ বাচ্ছাও তাই ।

- কি ম্যাডাম, এতো কম জামাকাপড় পরছেন কেন ?
- কি করবো স্যার, আপনি যা মাইনে দেন তাতে এর বেশী আর পাই কোথায় ?
- যান, আসছে মাসে আপনার মাইনে কাটা গেল ।

- যদি কখনও তোমার বৌকে আপত্তিজনকভাবে আর কারোর সাথে বসে থাকতে দেখো তো কি করবে ?
- কি আবার ? অমন বউকে সঙ্গে সঙ্গে শেষ করে দেবো ।
- (স্বগতোক্তি) যাক, আমি তাহলে বেঁচে যাবো ।

- তোমায় একটা কথা বলবো, মারবে না তো ?
- কেন, কি কথা ?
- আমি মা হতে চলেছি ।
- বাঃ, এতো আনন্দের খবর । এতে তোমায় মারবো ?
- বিয়ের আগে বাবাকে একবার বলে মার খেতে হয়েছিলো ।

- বলিস কিরে, তোরা পঁচিশ ভাইবোন ?
- হ্যাঁ ।
- গতমাসে ফ্যামিলি প্ল্যানিং-এর লোক পাড়ায় এসেছিলো, তোদের বাড়ী যায় নি ?
- এসেছিলো, ইস্কুল ভেবে চলে গেলো ।

- টুপির ওপর থেকেই মাথা চুলকোচ্ছো কেন ?
- তুমি যখন তোমার ঐটা চুলকোও, প্যান্ট খুলে চুলকোও ?

- বুঝলেন দাদা, সন্তান দুটিই ভালো । তা আপনার কটি ?
- দুটিই । ঐ ভালোর খোঁজে আরও আটটি হয়ে গেলো ।

- তোমার জন্যে রাতে ঘুম হয় না । আমায় বিয়ে করে নাও প্লীজ ।
- যাব্বাবা । বিয়ে করে ঘুমিয়ে রাত কাটাবে ?

জজ - ডিভোর্স তো পাবে । কিন্তু রামু, তোমাদের তিন ছেলেকে কিভাবে ভাগ করবে ?
রামু - (বউকে) চলো, আসছে বছর আসতে হবে ।

- তোর মুখের সাথে আমার এতো মিল কি করে হোলো বলতো ? তোর মা আমাদের বাড়ীতে প্রায়ই আসতো নাকি ?
- উঁহু, তবে বাবা আসতো বলে শুনেছি ।

- কাল এক মহিলার ইজ্জত বাঁচিয়েছি ।
- কি করে ?
- আত্মসংযম বন্ধু, স্রেফ আত্মসংযম ।

- গাড়ীর সামনের সিটে বাচ্চা থাকলে দুর্ঘটনা ঘটে ।
- আর গাড়ীর পেছনের সিটে দুর্ঘটনা ঘটলে বাচ্চা হয় ।

- ওসামার পাঁচ বৌ, কুড়িটা ছেলেমেয়ে । লালুর একটা বৌ, ন'টা ছেলেমেয়ে । তাহলে কে ভালো ?
- টোটাল ওসামার বেশী কিন্তু লালুর স্ট্রাইক রেট বেটার ।

- তোমার বৌ শুনলাম তার যমজ বোনের সঙ্গে একদম এক দেখতে । বৌ আর শালীর মধ্যে তফাৎ করো কি করে ?
- করার চেষ্টাই করি না ।

- কাল স্বপ্নে দেখলাম, কত্তা আর এক হতচ্ছাড়ির সঙ্গে খুব হা-হা-হি-হি করছে ।
- আরে, স্বপ্নই তো । সত্যি তো নয় ।
- তা নয় । কিন্তু আমার স্বপ্নেই ও যদি এই কান্ড করতে পারে, তো নিজের স্বপ্নে না জানি কি কি করে !

- কাল রায়বাহাদুরের সাথে ডিনার ছিল । উনি আমাকে বললেন, প্লীজ পাস দ্য ওয়াইন, ইউ ডিভাইন !
- অপূর্ব, সো পোয়েটিক ! তা তুমি কি করলে ?
- আমিও একইভাবে কাব্য করে বললাম, প্লীজ পাস দ্য কাস্টার্ড, ইউ ...।

- পরীক্ষার হল বেশ মজার জায়গা কিন্তু ।
- কেন রে ?
- একমাত্র ওখানেই মেয়েদের বলা যায়, এই তোরটা দেখা না ।

- খোলা জায়গায় এতো ঢলাঢলি । লজ্জা করে না ?
- সেপাইজী, আমরা বিবাহিত ।
- তাহলে বাড়ীতেই যা করার করতে পারেন ?
- ওর স্বামী বা আমার স্ত্রীর চোখে পড়ে যেতে পারে যে !

স্ত্রী - কাল রাতেও বেড়ালে দুধ খেয়ে গেছে ।
স্বামী - তোমাকে কতবার বলেছি, টাইট জামা পরে শোও ।

- বউ বলেছে, জোর করে বিয়ে করেছো । দেহটা পেলেও মন পাবে না ।
- ও কিছু না । বিশ বছর পরের কথা ভাবো । দেহটা পেলেও মজা পাবে না ।

- জামার সামনের বোতাম খোলা ছিল বলে একজনের চাকরী হল না, আর একজনের হয়ে গেল ।
- তাই নাকি ?
- হ্যাঁ, প্রথমজন ছেলে ছিল আর দ্বিতীয়জন মেয়ে ।

- আজকাল আমায় খুব সাবধানে থাকতে হয়, যাতে প্রেগন্যান্ট না হয়ে যাই ।
- কেন, তোর বর তো অপারেশন করিয়ে নিয়েছে ?
- সেইজন্যেই তো !

- বেশ বউ হয়েছে । আরে একসময়ে আমার কোলে কতো খেলা করেছে ।
- আপনি নিশ্চই কন্যাপক্ষের । তা দাদা, আপনি মেয়ের কে হন ?
- কেউ না, অপিসে আমি ওর বস ছিলাম ।

- ডিভোর্স কেন চাইছেন, ম্যাডাম ?
- কেন আবার, স্বামী আমার প্রতি বিশ্বস্ত বলে মনে করতে পারছি না ।
- কেন আপনার এরকম ধারণা ?
- কারণ আমার একটা বাচ্ছাও ওর মতো দেখতে হল না !

- আমি বউকে টেলিগ্রাম করেছিলাম, আমি আসছি । তাও যখন এলাম, দেখি আর একজনের সঙ্গে ঢলাঢলি চলছে !
- আহা, বৌদি আপনার টেলিগ্রাম পান নি বোধহয় ।

- তোমায় চিন্তিত দেখাচ্ছে কেন ?
- আমি বাপ হতে চলেছি ।
- বাঃ, এতো খুশীর খবর ?
- তাই আর নয় ? বউ যদি জেনে ফেলে ?

- দুই মহিলা, একরকম দেখতে । পরনে মিনিস্কার্ট, মাথায় হ্যাট । কি করে বুঝবি কে এশিয়ান আর কে অ্যামেরিকান ?
- খুব সহজ । সামনে একটা ফ্যান জোরে চালিয়ে দে । দেখবি এশিয়ান স্কার্ট সামলাবে আর অ্যামেরিকান, হ্যাট ।

- আমার বউয়ের নাম সুচিত্রা, আমি ছোট করে ডাকি সুচি বলে ।
- আমার বউয়ের নাম বিচিত্রা, আমি ছোট করে ডাকি...
- আঃ, কি হচ্ছে কি ?
- কেন কি হোলো ? আমি ওকে ডাকি চিত্রা বলে ।

মা (অন্তঃস্বত্বা মেয়েকে) - বল কে করেছে এই কুকর্ম ?
- মিসড কল তো আসতেই থাকে । কি করে জানবো, কোনটা রিসিভ হয়ে গেছে ?

মেয়ে - মা, আমার আচার খেতে ইচ্ছে করছে ।
মা - তখনই জানি । গত ক'মাস ধরে তোমার আচার-ব্যবহার আমার মোটেই ভালো ঠেকছিল না !

- বউকে দেখেছিস, কি মিষ্টি ?
- চকোলেট কি শুধু দেখে বোঝা যায়, কতো মিষ্টি ?

Posted in: ফান