« »

Friday, October 7, 2011

বাংগালী নারীর ৪৭ টি বৈশিষ্ট্য

১) তাহারা মুখমন্ডল লইয়া এতই চিন্তিত যে শরীরের যত্ন নেবার কথা তাহাদের মনেই আসে না।

২) তাহারা একলা তোমার সাথে হাসিয়া কথা কহিবে, কিন্তু সাথে অন্য কেহ থাকিলে এমন ভাব করিবে যে তাহারা তোমাকে সহ্যই করিতে পারিতেছে না।

৩) এক কেজি ওজন কমাইতে পারিলে তাহারা খুশিতে আত্মহারা হইবে এবং সকলকে তাহা বলিয়া বেড়াইবে।


৪) তাহারা ম্যাচিউর ছেলের সন্ধানে এতই ব্যস্ত এবং নিজের ম্যাচিউরিটি লইয়া এতই আত্মবিশ্বাসী যে কখনো কখনো তাহারা অতিরিক্ত ম্যাচিউর ছেলের খপ্পরে পরিয়া নিজের সর্বস্ব খুইয়া বসে। তবে সে কথা অবশ্য কোনদিন কেহ জানিতে পারেনা। এমনকি তাহাদের স্বামীও না।

৫) যদি কখনো কোনদিন কাহারো চুল কোমর ছুঁইতে পারে ( হোক না সে কাকের বাসা) তাহলে ত আর কথাই নাই। চুলের গর্বে আত্মহারা হইয়া বাকি সব ত্রুটি ভুলিয়া যাইবে। রূপ সংক্রান্ত যেকোন আলোচনায় তখন প্রসংগ টানিয়া নিজের চুলের কথা বলিবার চেষ্টা করিবে। তাহাদের সেই খুশী দেখিলে মনে হইবে সেলুনে চুল বিক্রী করিয়া ভাত খাইতে পারিবে।

৬)কখনোই ইন্টারনেট পুরোপুরি ব্যাবহার করিতে শিখিতে চাইবে না। সর্বদা ছেলে বন্ধুর সাহায্য নিবে। অথবা হাতের কাছের মনুষ্য সমাজকে বিরক্ত করিবে।

৭)কিছু কিনিতে গেলে দশ টাকা হইলেও দরাদরি করিবার চেষ্টা করিবে। দশ টাকা না কমাইলে প্রয়োজনে অতীব দূর্লভ জিনিসটিও হাত ছাড়া করিতে তাহাদের বাঁধে না।

৮) নিজের পছন্দের কুৎসিত মেয়েটিকে ‘সুইট’ উপাধি দিয়া চালাইয়া দেবার চেষ্টা করিবে এবং প্রয়োজনে হিংসার সুন্দরী মেয়েটিকে ‘উগ্র’ উপাধিতে ভূষিত করিবে।

৯) দীর্ঘ চার বছর ক্রিকেটের/ফুটবলের কোন খোঁজ লইবে না, কিন্তু বিশ্বকাপ আসিলে এমনভাব করিবে যেন ওরা এগারোজনত তাহার হাতেই গড়া।

১০) ব্লগের এই পোস্ট টি তে আসিয়া ভুল ধরিবার চেষ্টা করিবে।

১১) ‘ডাভ’ সাবানের প্রস্তুতকারক দেশ লইয়া তাহারা খুবই চিন্তিত। ভুল করিয়া তাহাদের জন্য ইউকে’র পরিবর্তে ফ্রান্সের ডাভ সাবান কিনিলে তাহারা সেই সাবানের সেনসিটিভিটি বুঝাইবার চেষ্টা করিবে এবং তাহা ব্যবহার করিবে না।

১২) নিজেরা পুরুষদের লইয়া ইচ্ছামত রসিকতা করিতে পারিবে ( যেমনঃ লুংগি, ভুড়ি, হাফপ্যান্ট, মাসেল ইত্যাদি) কিন্তু তাহাদের লইয়া কোন রসিকতা করিলে (যেমনঃ ফিগার, ড্রেস ইত্যাদি) তাহারা তোমাকে সমাজের নিকৃষ্ট ব্যক্তি বানাইয়া ছাড়িবে

১৩) তাহাদের মাঝে যাহারা নব্য সাহিত্যিক তাহাদের লেখার মূল বিষয়বস্তু হইল ‘ধোঁকাবাজ পুরুষ সমাজ’। লেখার ধরন সাধারনত এই রকম "প্রচন্ড কষ্টে আদ্রিতার বুক ফেঁটে যাচ্ছে। জামিল তাঁর সাথে এমন করবে সে ভাবতেই পারেনি। ইচ্ছে করছে ব্ল্যাক সি’র সমস্ত পানি এক সাথে পান করে ফেলতে। সূর্যের সকল উষ্ণতা যেন আজ তাঁর হ্রদয়কে গ্রাস করে ফেলেছে। তাঁর হৃদয়ে তৈরী হয়েছে কালো কাকের চেয়েও কালো এক বিশাল গহ্ববর। সেই গহ্ববরে বাস করছে অজস্র কালো সাপ যা কিনা এতদিন...... "
তাহার লেখায় অধিকাংশ পুরুষই মন্তব্য করিবে – তোমার লেখাটা মন ছুঁয়ে গেল আপুনি, আসলে আমাদের সমাজে......

১৪) কোচিং সেন্টারে চলে তাহাদের হাসির প্রতিযোগিতা। শুনিলে মনে হয় পরীক্ষায় থিওরী ৭৫%, প্র্যাকটিকাল ১৫% এবং হাসি ১০% নম্বর নির্ধারন করা আছে। কখনোও কখনোও মনে হয় তাহারা ভাবিতেছে যে হাসির শব্দ দিয়া তাহারা রুপের সকল ত্রুটি ঢাকিয়া ফেলিতে পারিবে বলিয়া মনে করিতেছে।

১৫) বাহিরে তাহারা ইভটিজার পাইলে চিৎকার চেচামেচী শুরু করিয়া দিবে, অথচ লুইচ্চা টিচার এর বিরুদ্ধে তাহারা কোন কথাই বলিবে না। বরং সেই টিচার এর সাথে খাতির করিতে তাহারা ব্যস্ত হইয়া উঠিবে।

১৬) পার্লারে গিয়া চুলের কাটিং সম্পূর্ন বদলাইয়া বলিবে ‘কিছুই করিনাই, শুধু আগাখানি কাটিয়াছি’

১৭) তাহাদের মাঝে কেহ কেহ আছে যাহারা মেক আপ দিয়া গাল লাল করিয়া বলিবে ‘ আমার গাল এমনিতেই লাল, আগে ত আরো লাল ছিল, এখন রোদে পুরে লাল একটু কমে গেছে’

১৮) তাহাদের সকলেরই ছোটবেলায় এয়ার হোস্ট্রেস হইবার শখ ছিল।

১৯) বড় হইবার পর অনেকেরই সংবাদ পাঠিকা হইবার শখ জাগে, কিন্তু অশুদ্ধ উচ্চারনের জন্য কোর্স করিতে সাহস পায় না, তাই কর্মব্যাস্ততার উপর দোষ চাপাইয়া বলে ‘ ইচ্ছে ছিল খবর পড়ার কোর্স করব, কিন্তু একদম সময় নাই’

২০) পোষ্টের সকল পয়েন্ট খুঁটাইয়া কোন একটা পয়েন্টের ভিত্তিতে সকল বৈশিষ্টের জন্য পুরুষ সমাজকেই দায়ী করিবে।

২১) কোকের বদলে স্প্রাইট পান করিবে এবং বুঝাইতে চাইবে স্প্রাইট শুদ্ধতার প্রতীক কারন ইহার রঙ স্বচ্ছ এবং ইহা যাহারা পান করিবে তাহারা পূর্নাঙ্গ মানবী (ম্যাচিউর)।


২২)‘মদ্যপান করিতে তাহারা আগ্রহী, কিন্তু যোগার করিতে পারিতেছেনা’ এমন ভাব তাহাদের মাঝে লক্ষ্য করা যায়। তাই অনেক সময় বিয়ার কে মদ ভাবিয়া পান করিবার পর তাহারা মাতাল হইবার ভান করিবে।এই সময় যদি দূর থেকে চিৎকার করিয়া বলা হয় ‘ গৃহে আগুন লাগিয়াছে সবাই পালাও হে’, তাহলে সাথে সাথেই তাদের নেশা কাটিয়া যাইবে।

২৩) চটপটিকে যতবেশী তেঁতুল দিয়া টক বানাইতে পারিবা ততই তুমি ‘বিশেষ কিছু একটা’- তাহাদের মাঝে এমন ভাব লক্ষ্য করা যায়। তাই অনেক সময় তাহাদের ভুলক্রমে অতিরিক্ত টক চটপটিও হাসিমুখে গিলিতে দেখা যায়, তখন তাহারা বলিবার চেষ্টা করে – আরে এই টক ত কিছুই না, মুন্নীদের বাসায় একবার চটপটি খেয়েছিলাম......

২৪) বাজারে চকবার জাতীয় নতুন কোন আইসক্রিম আসিলে তাহাদের সেই আইসক্রীমের প্রতি বিশেষ উৎসাহী হইতে দেখা যায়।

২৫) তাহাদের অনেকেই মনে করেন যে ‘এক্সকিউজমি’ সঠিক উচ্চারন নয়, তাই তাহারা ইহাকে সঠিকরুপে উচ্চারন করিতে গিয়া ‘স্কিউজমি’ বলিয়া ভুল উচ্চারন করেন।

২৬) দুইদিন বিকাল বেলা কচ্ছপের ন্যায় ধীর গতিতে হাঁটিবার পর ওজন না কমিলে তাহারা ওজন কমানোর পরিকল্পনা বন্ধ করিয়া দেয়।

২৭) ফাস্টফুডের দোকানে ছেলে বন্ধুর সামনে মুখ বন্ধ করিয়া খাইবে এবং ছেলে বন্ধুটির চাবানোর শব্দ শুনিয়া বিরক্তি প্রকাশ করিবে। তবে তাহাদের খাবার আসল রুপ ইফতারীর সময় টের পাওয়া যাইবে।

২৮) কোথাও গিয়া ছবি তুলিবার নামগন্ধ পাইলে ( থাক আর বলিলাম না)

২৯) তাহারা সকলেই ছোট বাচ্চাদের খুব ভালবাসেন, কারন ছোট বাচ্চারা খুবই সরল এবং বাচ্চাদের মনে এই তরুন সমাজের মত প্যাঁচগোচ নেই- তবে বাচ্চাটি তাহাদের কোলে পিশাব করিবার পর তাহাদের মুখ খানা দেখিলেই তাহাদের প্রকৃত ভালবাসার পরিচয় পাওয়া যাইবে।

৩০) তাহাদের অনেকেরই ইন্টারমিডিয়েটের সময় বিবাহ হইয়া যাইতেছে বলিয়া শুনা যায়, কিন্তু পরবর্তীতে দেখা যায় মাস্টার্স শেষ করিবার পরও মেয়ে আইবুড়ো হইয়া বসিয়া আছে।

৩১) আজ পর্যন্ত কোন পাত্রপক্ষই তাহাদের অপছন্দ করেন নাই, তাহারাই সকল পাত্রকে বাতিল করিয়া দিয়াছেন- সর্বদা এমনটিই শোনা যায়।

৩২) সারাবছর রসুইঘরে না গিয়া ঠিক ঈদের দিন নতুন রেসিপি রান্না করিয়া তাহারা অনেকের ঈদের আনন্দ মাটি করিয়া দেন।

৩৩) তাহাদের মাঝে যাহারা অল্প বয়সে মা হইয়াছেন তাহারা বাচ্চাদের সাঁতার শিখাইবার সময় সুইমিংপুলের সামনে চোখে সানগ্লাস দিয়া বসিয়া থাকেন। সানগ্লাসের কারনে তাহাদের চোখ কি বাচ্চার সাঁতারের দিকে আছে নাকি কোন তরুন সাঁতারুর দিকে আছে তাহা বুঝিবার সাধ্য কাহারো নাই।

৩৪) তাহাদের মাঝে যাহারা একটু সরল তাহাদের ছোটোবেলায় টাইফয়েডের কারনে বেল মাথা করিতে দেখা যায়।

৩৫) তাহাদের অনেকেরই ধারনা কমলা আর টমেটো খাইলে মুখখানা টমেটোর মতো টসটসে হইবে। ইদানীংকালে তাহাদের অনেককেই মুখে আলুর রস মাখিতে দেখা যাইতেছে। আলুর বদৌলতে বাজারের অনেক মুশুরীর ডাল এর অপব্যবহার বন্ধ হইয়াছে।

৩৬) তাহাদের মতে ডায়েটিং এর একমাত্র খাদ্য হল শশা। সাতদিন এক নাগারে শশা খাইয়া দূর্বল হইয়া তাহারা আবার সবল হইবার জন্য ভাত খাইতে আরম্ভ করে।

৩৭) কোন বিশেষ উপলক্ষে শাড়ী পড়িবে বলিয়া মনস্থির করিলে সেই শাড়ীর আনুসংগিক জিনিস পত্র যোগাড় হইতে হইতে অনেক সময় উপলক্ষের দিন পার হইয়া যায়। কখনো তাহারা ব্লাউজের কাপড় মিলাইতে পারেন না, কখনো শাড়ীর পার ঠিকমতো সেলাই হয় না, কখনো বা আঁচল টা বেশী বড় কিংবা ছোট হইয়া যায়, কখনো বা এত কিছু যোগাড় করিতে করিতে শাড়ীতে ময়লা দাগ লাগিয়া যায়।

৩৮) ইংরেজীতে তাহাদের অনেকেরই দৌড় ‘ওহ রিয়েলি?’ পর্যন্ত। ‘ওহ রিয়েলি’র উচ্চারন শুনিলে মনে হইবে তাহারা এই মাত্র বিমান হইতে অবতরন করিয়াছেন। কিন্তু ভাল করিয়া ঘাটাইলে দেখিবেন ‘এক্সকিউজমি, সরি, থ্যাংস আর একচুয়ালি’ ব্যাতীত অন্য কোন শব্দ তাহাদের মুখ হইতে বাহির হইতেছে না।

৩৯) তাহাদের অধীকাংশই ইংরেজী শিক্ষার কোর্সে ভর্তি হইতে গিয়া ভুলক্রমে আই,এল,টি,এস এর কোর্সে ভর্তি হইয়া যায়। এই কোর্সে ইংরেজী শিখানো হয়না, শুধুমাত্র ইংরেজীর চর্চা করানো হয়, ইহা তাহারা কোনভাবেই মানতে চাইবে না। তাহাদের এই ভোদাইগিরির সুযোগ লইয়া বহু আই,এল,টি,এস কোচিং সেন্টার মোটা অংকের অর্থ কামাইতেছে।

৪০) তাহারা বাস স্ট্যান্ডের বাথরুম ব্যাবহার করিবার পর ইচ্ছা করিয়া মুখে পানি ছিটাইবে, শত চেষ্টা করিলেও তাহাদের মুখ থাকিয়া বাহির হইবে না যে তাহারা বাথরুম করিবার জন্যই বাথরুমে গিয়াছিল।

৪১) বাস সিগন্যালে আটকা পড়িলে সিগন্যাল ছাঁড়িবার ঠিক আগ মূহুর্তে তাহারা আমড়া কিংবা কামরাঙা কিনিতে মনস্থির করিবে।

৪২) তাহাদের মাঝে যাহারা একটু বোকা তাহাদের ইমেইলের পাসওয়ার্ড তাহাদের ছেলেবন্ধুর নামের সাথে ওয়ান টু থ্রি যোগ করিলেই পাওয়া যাইবে।

৪৩) ফাস্টফুডের দোকানে অনেক সময় তাহাদের স্যুপ এর প্রতি বিশেষ আগ্রহ দেখা যায়। সেই আগ্রহ শুধু স্যুপেই সীমাবদ্ধ থাকেনা, বরং মরিচ কুঁচি, সয়া সস, টমেটো সস, টেস্টিং সল্ট ইত্যাদির সঠিক পরিমাণের উপরও লক্ষ্য করা যায়।

৪৪) তাহাদের অনেকেরই স্লীভলেস কামিজ পড়িয়া, হাত ওড়না দিয়া ঢাকিয়া অর্ধাধুনিক হইতে মন চায়।

৪৫) তাহাদের অনেকেই মাথায় ওড়না দিয়া মনে করেন তাহাদের এরাবিয়ান বিউটির মত লাগিতেছে।

৪৬) একের অধিক ছ্যাঁকা খাইলেও তাহারা সর্বদা প্রথম ছ্যাঁকার কথাই স্বীকার করিবে, বাকিগুলাকে গুড ফ্রেন্ড বলিয়া চালাইয়া দিবে।

৪৭) কোন অনুষ্ঠানে একটি গান শেষ করিবার পর ভদ্রতার খাতিরে ‘ওয়ান মোর’ বলিলে তাহারা সাথে সাথে ওয়ান মোর গান শুরু করিবে।

0 টি মন্তব্য:

Post a Comment

 
Design by Free WordPress Themes | Bloggerized by Lasantha - Premium Blogger Themes | Best WordPress Themes