১)
ব্যুফে খাওয়ার সর্বপ্রথম অলংঘনীয় যে নিয়ম সেটি হল সঙ্গী নির্বাচন।
খাদক ভাইদের ক্ষেত্রে একটি সতর্কীকরন হইল গার্লফ্রেন্ড নিয়া জিন্দেগীতে ব্যুফে খাইতে যাবেন না। ইফ যদি না আপনার গার্লফ্রেন্ড ভোজন প্রেয়সী না হয়।
নাইলে ইট্টু পর পর খালি তেনা পেচাইব। কইব "এই তুমি এরকম অসভ্যের মতন খাচ্ছ কেন?, ঐ লোকটা আমাদের দিকে এভাবে তাকায় আছে কেন? আমরা কি বেশি খাচ্ছি নাকি?"...... ইত্যাদি আজাইরা পেচাল পাইরা কনসেন্ট্রেশনের মায়রে বাপ কইরা ছাইরা দিব। বেস্ট অপশন হইল নিজের চেয়ে বড় খাদককে সঙ্গী হিসেবে নির্বাচন করা। এতে প্রতিযোগিতার আবেশ তৈরি হয় এবং বেশি খাওয়া যায়। ২)
আপনার সবচেয়ে ঢিলেঢালা প্যান্টটা বের করে পরে ফেলুন। তার উপর ছেড়ে দিন টি-শার্ট। ভুলেও ইন করবেন না আর বেল্ট ব্যবহার এই ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ বর্জণীয়।
৩)
"খাওয়ার আগে মাইরের পিছে" এইটা ভুলা যাইবনা। ঢাকার ব্যুফে রেস্টুরেন্ট গুলির লান্চ বা ডিনারে নির্দিস্ট সময়সীমা থাকে। সাধারনত ২ থেকে ৩ ঘন্টা সময় বেধে দেয়া থাকে। এক্ষেত্রে সময় শুরু হবার আধা ঘন্টা আগে গিয়া জায়গা দখল করতে হইবে। প্রশ্ন উঠিতে পারে আধা ঘন্টা কি করিবেন। এসময় খালি নাকের ব্যবহার করতে হইবে। আপনার নাসারন্ধ্র দিয়া চোষ্য চর্ব লেহ্য পেয় এর সুঘ্রাণ আপনার পরিপাক তন্ত্রে গিয়া অবিরাম আঘাত হানিতে থাকিবে যাহা বেশি খাইবার পক্ষে সহায়ক। ব্যুফে টাইম শুরু হইবার সাথে সাথে বিসমিল্লাহ বইলা কোদালের মত ঝাপাইয়া পরবেন। নাইলে আসল আইটেমে শর্ট পইরা যাইব নিশ্চিত।
৪)
ব্যুফেতে জিন্দেগীতে স্যুপ খাইবেন না দুইটা কারন
# স্যুপটা জঘণ্য হয়
# স্যুপ আপনার ক্ষিদা অকালে ধ্বংস করবে অত্যন্ত ক্রুর ভাবে
৫)
ব্যুফেতে সালাদ ই থাকে ১২-১৫ ধরনের। ২/১ টা ছাড়া বাকিগুলার ধার দিয়াও হাটবেন না।
৬)
ভাত, ফ্রাইড রাইস এবং নুডুলস বা পাস্তা অত্যন্ত অল্প পরিমানে চেখে দেখবেন।
৭)
সালাদের মত মেইন ফুডেও আজাইরা কিছু আইটেম থাকে ঐগুলার দিকে ফিরাও তাকাইবেন না।
৮)
এক ফোটাও পানি খাইবেন না।
৯)
ভুলেও লজ্জা পাবেন না, মনে রাখবেন লজ্জা পাইছেন তো ধরা খাইছেন।
১০)
এই পয়েন্টটা খাওয়ার আগে অবশ্যই এপ্লাই করতে হইবেক। সেটা হইলো খাওয়া শুরু কইরবার আগে অবশ্যই একবার পুরা আয়োজন ঘুরিয়া দেখিতে হইবে কারন দেখা গেল আজাইরা আইটেম পেটের মধ্যে ঢুকাইয়া জায়গা মাইরা দিতাছেন পরে মজার জিনিষের জায়গা নাই।
১১)
লাস্ট বাট নট দ্যা লিস্ট যেহেতু সবার আগে গেছেন সেহেতু আপনার হাতে পুরা টাইমই আছে। তাই পুরা সময় যত্ন সহকারে ব্যয় করিবেন খাওয়া পিছনে। যখনি দেখবেন যে টান্কি পুরা ফুল তখন ৫/১০ মিনিট কালব্যাপী জিরাইয়া লইবেন আর চিন্তা করিবেন যে "শালা ৮০০ টাকা দিলাম আর কিছুই তো খাইলাম না"। দেখবেন যে টাকার আফসুসে পেটের ভিতরে মিনিমাম হাফ লিটার জায়গা খালি হইয়া গেছে।
ইফতারি ব্যুফের স্পেশাল টিপসঃ
# যেহেতু সারাদিন রোজা রাইখা ব্যুফে খাইবেন তাই ভুলেও বেগুনি, আলুরচপ, পিয়াজু, ছোলা, বুট, মুড়ি, খেজুরের দিকে তাকাইবেন না। প্রথম ধাপে কোন দিকে না তাকাইয়া এক দফা কয়েক মিনিট খাইয়া নিবেন। মনে রাখবেন নিজের পেটরে বোঝার টাইম দিবেন না যে পেট ভইরা গেছে। কখনই কিন্তু সাথে সাথে বোঝা যায়না যা পেট ভরে গেছে। খাওয়ায় গ্যাপ দিলেই কিন্তু পেট বুইঝা ফালাইবো যে সে ফুলফিল হইয়া গেছে।
# ভুলেও প্রথম ১৫মিনিট কলিগদের সাথে গল্প করতে করতে খাবেন না। পরের ধাপে গল্প করতে করতে খাইতে পারেন। কিন্তু একটা কথা মনে রাইখেন যে কলিগদের সাথে বহুত গল্প করতে পারবেন মাগার ব্যুফের ২ ঘন্টা টাইম কিন্তু আর পাইবেন না।
কেউ যদি মনে করেন যে ১ নম্বর পয়েন্টের বিষয়টাতে আমার হেল্প দরকার, আমারে খালি আওয়াজ দিলেই হইব, বাকিটা ১১ টাও আমার দায়িত্ব।
2 টি মন্তব্য:
josssssssss hahaha
ha ha ha...
Post a Comment