« »

Monday, September 13, 2010

কোক, পেপসি, মোজো ইত্যাদি খাবেন ভাবছেন?

 



আমরা কি জানি পাশের দেশ ভারতে ল্যবরেটরী পরীক্ষায় কোক ও পেপসিতে অত্যধিক মাত্রায় কীটনাশক পাওয়া যাওয়ায় মধ্য প্রদশ, গুজরাট ও কেরালায কোক, পেপসিসহ সফট ড্রিংকস বিক্রি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আমরা কি জানি, ভারতে কোক, পেপসির উপর উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা জারী হয়েছে। কোক যে, ক্ষতিকর নয়, কোক কোম্পানীকে তা প্রমাণ করতে বলা হয়েছে?

বিবিসি'রখবরে বলা হয়েছে, "In 2003, an Indian parliamentary committee upheld the CSE findings on the presence of pesticide residues and recommended that standards were set for soft drinks too....The Indian Food Processing Industries minister, Subodh Kant Sahay said the government would look into the matter when it receives an official complaint."


১৯৯৭-৯৮ সালে যখন বাংলাদেশে এক বোতল কোকের দাম ছিল ১০ টাকা তখন:
১ কেজি কোক মিক্সার/পাওডার (কোকা পাওডার, সোডা, ফ্লেভার, ইত্যাদির মিশ্রণ) ও আনুপাতিক পরিমাণ স্যাকারিন, কীটনাশক, রং, পানি সহ যত বোতল কোক উৎপাদন হতো তাতে প্রতি বোতল পানীয়ের দমি পড়তো বাংলাদেশী টাকায় মাত্র ০.১৬ টাকা মানে ১৬ পয়সা।

বোতলের মুখ লাগানো, শ্রমিকের মজুরী, কারখানার অবচয় বা ডেপ্রিসিয়েশন ও বিপণনসহ এক বোতল পানীয়ের দাম পড়তো এক টাকারও কম।

বোতলের দাম এত কম যে তা হিসেবের মধ্যে প্রায় দেখা যায় না। কারণ একটি বোতলে বার বার ভরে হাজার হাজার বার কোক বিক্রি করা হয়। যদি একটি বোতলের দাম পাঁচ টাকা হয়, তাহলে এক হাজার বার কোক বিক্রি করলে এক বোতলের ভাগে পড়ে আধা পয়সা। বোতল এমন ভাবে তৈরী যে, ভাঙ্গার পরিমাণও খুব কম।

পৃথিবীর ২১টি দেশে এক গ্লাস কোক বা পেপসির মধ্যে মানু্ষের একটি দাঁত ডুবিয়ে রেখে দেখা গিয়েছে যে, ৭ থেকে ১৪ দিনের মধ্যে দাঁতটি পানীয়ের মধ্যে সম্পূর্ণ গলে মিশে গিয়েছে।

কোকের মধ্যে কীটনাশক মিশানো হয় এই কারণে যাতে, দীর্ঘ দিন বোতলে থাকলেও পানিতে কোন ব্যাকটেরিয়া, ফাঙ্গাস, কীট বা পোকা না জন্মাতে পারে। তাছাড়া পানিতে থাকা জু-প্লাঙ্কটন ও ফাইটা প্লাঙ্কটন বংশ বিস্তার করতে না পারে।


কোক বা ঐ জাতীয় পানীয় খেলে কি হয়?

- নাড়ীর ভিতরের শ্লেষ্মা ঝিল্লী বা মিউকাস মেমব্রেণ পচে যায় বা নষ্ট হয়ে যায়;

- নাড়ীর সংকোচণ, সম্প্রসারণ ক্ষমতা কমে যায় এবং খাদ্য থেকে পুষ্টি শুষে নেয়ার ক্ষমতা কমে যায়;

- হজম ক্ষমতা কমে যায়, বদ হজম, ফুড পয়জনিং, গ্যাস্ট্রিক, ক্ষুদামান্দ্য, ইত্যাদি অসুখ হয়;

- স্থায়ী কোষ্ঠ কাঠিন্য হয়;

- অনেকের শরীরের ওজন বেড়ে ওবেসিটি হয়ে যায (Coke Wikipidia);

- শরীরে চর্বির/কোলেস্টরেল এর পরিমাণ বেড়ে যায;

- শরীরের ক্যালসিয়াম মলিউকুল গঠন প্রক্রিয়া দুর্বল হয়ে পড়ে, হাড় দুর্বল ও নরম হয়ে যায়:

- নারীদের প্রজনন প্রক্রিয়ায় নতুন শিশুর হাড় গঠনে ক্যালসিয়ামের অভাব হয়, নতুন শিশু প্রয়োজনীয় ক্যালসিয়াম পায় না (Coke Wikipidia);

- এইসব উপসর্গ থেকে কঠিন কঠিন সব অসুখ হয়;

- ডাক্তারের কাছে যাওয়া অবশ্যম্ভাবী হয়ে পড়ে, ফলে বিভিন্ন ডাক্তারী টেষ্ট ও চিকিৎসায় প্রচুর টাকা ব্যয় হয়;

- কোক কোম্পানীগুলির সিস্টার কনসার্ন ঔষধ কোম্পানী গুলির প্রচুর লাভ হয়।


কোক ও পেপসি কোম্পনী এসব বিষয়ে ধুম্রজাল সৃষ্টির বহু চেষ্টা করেছে, কিন্তু বারবার সরকার ও আদালতের আদেশ তাদের বিপক্ষে গিয়েছে। লক্ষ্যণীয় যে তারা বার বার আদালতে গিয়েছে তৃতীয় বিশ্বের দেশে। আমারিকা, কানাডা এবং ইউরোপে তারা আদালতে যায়নি, কেননা সেখানে ধুম্রজাল সৃষ্টির কোন সুযোগ তাদের দেয়া হয়নি ।

( Sharif A. Kafi -এর ফেসবুক নোট থেকে সংকলিত। মূল লেখাটি পড়তে এইখানে ক্লিক করুন।)

1 টি মন্তব্য:

ashishdas said...

Akhon theke lebur shorbot.

Post a Comment

 
Design by Free WordPress Themes | Bloggerized by Lasantha - Premium Blogger Themes | Best WordPress Themes